স্বামী ও স্ত্রীর ভালোবাসা কেমন হওয়া উচিত
অনেকের মুখেই শুনেছি যে তাদের বিয়ের ১ বা ২ বছর পর স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা কমে গেছে। কিন্তু কেনো কমে যায় তার কারণ বলতে পারেনা। তাদের জানা নেই যে স্বামী ও স্ত্রীর ভালোবাসা কেমন হওয়া উচিত। কিভাবে একে অপরকে ভালোবেসে আগলে রাখতে হয়।
আমরা সবাই এই জিনিস টা বুঝি যে কোনো কিছুই পেয়ে গেলেই তার মূল্য কমে যায় আমাদের কাছে। তাই হয়তো আমরা বিয়ের আগে তাকে যতই ভালোবাসি না কেনো একে অপরকে পেয়ে গেলেই , ভালোবাসা কোথায় যেনো একটা কমতে শুরু করে। আমরা আমাদের স্বামী বা স্ত্রী উভয়ের মধ্যে একটু হলেও চেঞ্জ লক্ষ করি।
আমরা যখন আমাদের প্রিয় মানুষটিকে ভালোবাসতে শুরু করি তখন আমরা আমাদের শুধু ভালো গুন গুলোই দেখায়।এর ফলে আমাদের প্রিয় মানুষটি আমাদের সেই রকমই ভেবে নেই। ফলে যখন আমরা তাদের বিয়ে করি তখন আমাদের খারাপ গুন বা দোষ গুলো তারা একটু একটু করে বুঝতে পারে। ফলে আমাদের উপর তারা একটু হলেও বিরক্ত লাগা শুরু করে। কারণ একসঙ্গে থাকলে তবেই বোঝা যায় যে সেই মানুষ টি কেমন ধরনের।
কারণ বিয়ের পর ছেলে বা মেয়ের উভইয়ের লাইফ স্টাইল চেঞ্জ হয়ে যায়। ফলে ছেলে বা মেয়েটি সেই চেঞ্জ লাইফ টাকে মেনে নিতে পারে না।
যেমন ছেলেদের ক্ষেত্রে – সংসারের চাপ আসতে শুরু করে। কারণ তার সঙ্গে একটা মেয়েও বাস করতে শুরু করেছে। তাকে কেয়ার করা, তার প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে দেওয়া, তার সঙ্গে সময় কাটানো , কোথাও গেলে তাকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া , তার মতো করে চলা এই সকল ব্যাপার গুলো যখন ছেলেটার সঙ্গে ঘটে তখন ছেলেটি নিজেকে আর স্বাধীন ভাবতে পারে না। তখন নিজেকে খুব পরাধীন মনে হয়। সামনের মানুষটির উপর বিরক্ত লেগে যায়।
তেমন মেয়েদের ক্ষেত্রেও – নতুন সংসারে এসে নতুন ভাবে চলতে তার অসুবিধা হয়।বাড়িতে যেমন থাকতো ঠিক তেমন না থাকতে পারতে নিজেকে খুব অসহায় মনে হয়। সবার কথা মেনে চলতে গিয়ে সে নিজেকে ভুলতে থাকে। এটাও তার কাছে বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর সে যার বউ তার মতো চলতে গিয়েও বিরক্ত হয়। ফলে সেই মেয়েটির মধ্যে আর আগের মত ভালোবাসা বা প্রেম জিনিস টা থাকেনা।
তাই যত দিন যায় ততই একে ওপরের উপর ভালোবাসা কমে গিয়ে ধীরে ধীরে বিরক্ত, রাগ, ঝামেলা শুরু হয়।
আমার মতে বিয়ের আগেই আমাদের একে অপরকে আমাদের ভালো দিক গুলো যেমন জানা দরকার তেমন আমাদের খারাপ দিক গুলো নিয়েও আলোচনা করা উচিৎ। এতে আমাদের সংসারিক জীবন মানিয়ে গুছিয়ে নিতে সাহায্য করে। জীবন মধুর হয়।